Monday, November 24, 2014

সুখরিয়ার সুখানুভুতি

Updated about a week ago
সুখরিয়া হুগলী জেলার সোমরাবাজার ও বলাগড় রেল স্টেশনের মধ্যে একটা সুন্দর গ্রাম যেখানে পুরানো দিনের সুন্দর কারুকার্য দেখা যায় | কিছু কিছু মন্দির নতুন করে তৈরী করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু আধুনিক কাঠামো পুরানো দিনের সৌন্দর্য হারিয়েছে| সুখরিয়ার পুরানো দিনের অনন্য সংস্কৃতি ও কারুশিল্প, পূর্বতন সমৃদ্ধ বাংলার দিকেই আলোকপাত করে |

পুরানো এক বটগাছের নীচে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে হুগলী নদী ও সবুজ দ্বীপের সৌন্দর্য | ১৭৮৫ সালে তৈরী হওয়া সমতল ছাদের সিদ্ধেশ্বরী মন্দির সুখারিয়ার সবথেকে পুরানো মন্দির | গ্রামের লোকেরা গর্বের সাথে মন্দিরটির পুননির্মানের কথা বলেন কিন্তু এক চূড়ার পাকা ছাদের সিমেন্টের প্লাস্টার করা থাম ও দেওয়ালের পুর্নগঠিত মন্দির তার শতাব্দী প্রচীন ইতিহাসকেই মুছে দিয়েছে | একই রাস্তায় পরবর্তী ও সম্ভবত সুখারিয়ার সবথেকে আকর্ষণীয় – আনন্দ ভৈরবী মন্দির | সামনের লেকের জলে অতিকায় মন্দির ও তার সাথে লাগোয়া ছোট ছোট মন্দিরের প্রতিফলন দর্শণার্থীদের মুগ্ধ করে দেয় | ২৫ চূড়ার তিনতলা আনন্দ ভৈরবী মন্দিরটি ১৮১৩ সালে বীরেশ্বর মুস্তাফি তৈরী করেন | প্রথম তলার চারদিকের চারটি কোণে ৩টি করে চূড়া রয়েছে, দ্বিতীয় তলার চারটি কোণে ২টি করে ও তৃতীয় তলায় একটি করে চূড়া রয়েছে! ঠিক মাঝখানে রয়েছে মন্দিরের মূল চূড়া | বিশেষজ্ঞদের মতে মন্দিরের স্থাপত্বশিল্পে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ও সারা পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৫টি মন্দির রয়েছে | মন্দিরের মধ্যে রয়েছে আনন্দময়ী কালীর বিগ্রহ ও ঢোকার পথের দুধারে ৬টি করে মন্দির রয়েছে যার মধ্যে ৫টি আটচালা ও একটি করে পঞ্চরত্ন| একটি পঞ্চরত্ন মন্দিরে গনেশ মূর্তি রয়েছে ও ৯টির মধ্যে শিবলিঙ্গ | মন্দিরগুলি মাঝে মধ্যেই সারাই ও মেরামত করা হয়েছে ফলে দৃষ্টিনন্দন কাজের বেশীরভাগটাই নষ্ট হয়ে গেছে | আনন্দ ভৈরবী মন্দিরের পরই রয়েছে রাধা কুঞ্জ | এটা মুস্তাফি পরিবারের বংশানুক্রমিক প্রসাদ যা বর্তমানে ধ্বংশস্তুপ কিন্তু প্রতিবছর এখানেই তাদের পারিবারিক দূর্গাপুজা হয় | এর পর রয়েছে হারা সুন্দরী মন্দির | এই নবরত্ন মন্দির তৈরী হয় ১৮১৩ সালে ও গড়ন আনন্দ ভৈরবী মন্দিরের মতই, শুধু ঢোকার পথের দুধারে রয়েছে পাঁচটি আটচালা ও দুটি করে নবরত্ন মন্দির | এই মন্দিরগুলোও অনেকবার সারাই ও মেরামত করা হয়েছে | এর পর রয়েছে নিস্তারিনী মন্দির| মুস্তাফি পরিবার এটা তৈরী করেন ১৮৪৭ সালে | এই নবরত্ন মন্দিরে গম্বুজাকৃতি চূড়া রয়েছে | আগে মন্দির চত্বরে একটা নাটমন্দির ছিল বর্তমানে তা ধ্বংশস্তুপ শুধুমাত্র চারটি পিলার অবশিষ্ট রয়েছে | সামনেই রয়েছে মুস্তাফি পরিবারের ঠাকুর দালান যার অবস্থাও নাটমন্দিরের মতই শুধুমাত্র কিছু পিলার ও আর্চ পুরানো ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে | 
Source : The above information is from my good friend Asit Mukhopadhyay. To see pics click here

No comments:

Chronological order

Followers